
ঢাকা অফিস ॥ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজনীতির ইতিহাসের রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত অধ্যায়। সেদিন যা ঘটেছিল তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে নৃশংস ও নিকৃষ্টতম অধ্যায়। সেই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার দেড় দশক পেরিয়ে গেলেও সেই বিকেলের রক্তের ক্ষত প্রতিটি মানুষের মনে এখনও দগদগে। গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘নৃশংস ২১ আগস্ট স্মরণে’ জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন আয়োজিত আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে নেতারা একথা বলেন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মাঠে কত কথাই বলেন একে অপরকে। কিন্তু পুরো প্রশাসনকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করে ২১ আগস্টের বিচার প্রভাবিত করতে একটি মিথ্যাকে সত্য বলে চাপিয়ে দেওয়া কোনো সভ্য সমাজের সংস্কৃতি হয়ে উঠতে পারে না। তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের এহেন অপতৎপরতার বিষয়টি পরবর্তীকালে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। যদিও তাদের এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। তিনি বলেন, ২১ আগস্টের হামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত করা হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। রাজনীতি ভয়াবহভাবে দুর্বৃত্তায়িত হলেই এটি সম্ভব। এরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ন্যায়বিচারের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদেরও সজাগ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এম এ জলিল বলেন, ২১ আগস্টের ভয়াবহ সেই গ্রেনেড হামলার আড়ালে প্রকৃত সত্য কী, দেশবাসীর সামনে তা উদঘাটিত হওয়া জরুরি ছিল। দেরিতে হলেও সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে এ হামলার পরিকল্পনাকারী কারা ছিল, কারা অংশ নিয়েছিল হামলায়। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এমএ জলিল, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ূন কবির, বিশিষ্ট রাজনীতিক আ স ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।