Aug 23, 2020

পাকিস্তান-চীন কৌশলগত বৈঠক, ভাবনায় ভারত

featured image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের হেনান দ্বীপের রিসোর্টে ‘দ্বিতীয় বার্ষিক কৌশলগত আলোচনা’ শুরু হয়েছে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই বৈঠক। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র এই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পাশাপাশি রয়েছে কাশ্মির-সহ নানা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ।

চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার শুরু হওয়া দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের বড় অংশ জুড়ে ছিল চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রসঙ্গ। শনিবার বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন কুরেশি ও ওয়াং।

তাতে বলা হয়েছে, “শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সহযোগিতাপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ার বিষয়ে দু’পক্ষই ঐকমত্যে এসেছে। পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে সহমত হয়েছে বৈঠকে।’’

তিব্বত ও শিনজিয়াংয়ের পাশাপাশি হংকং এবং তাইওয়ান নিয়ে চীনের সাম্প্রতিক কঠোর অবস্থানকেও যৌথ বিবৃতিতে সমর্থন জানিয়েছেন কুরেশি।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক কাশ্মির বিবাদ’ প্রসঙ্গও ঠাঁই পেয়েছে যৌথ বিবৃতিতে। সেখানে বেইজিংয়ের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের সনদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবের উল্লেখ করেছেন।

সেই সঙ্গে তিনি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মিরের পরিস্থিতি সম্পর্কে পাকিস্তান অবহিত করেছে চীনকে। অবস্থান, উদ্বেগ এবং সাম্প্রতিক জরুরি বিষয়গুলির কথাও জানিয়েছে।’’

যদিও ভারত বরাবরই জম্মু ও কাশ্মির বিবাদকে ‘দ্বিপাক্ষিক সমস্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। চলতি মাসেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের এক বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মিরকে ‘ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’ হিসেবে বর্ণনা করে এ বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছিল।

এছাড়া লাদাখে সাম্প্রতিক চীনা বাহিনীর উপস্থিতির পর তা নিয়ে ইসলামাবাদ-বেইজিং বিবৃতি নয়াদিল্লিকে চাপে রাখার কৌশল বলেই মনে করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পাশাপাশি, যৌথ বিবৃতিতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় চীন-পাকিস্তান সহযোগিতার প্রসঙ্গও স্পষ্টতই ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী।

আনন্দবাজার


SHARE THIS