Aug 22, 2020

কবে করোনামুক্ত হবে বাংলাদেশ, জানালেন ড.বিজন

featured image

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দেশের বাসাতে বইছে করোনার হাওয়া। প্রতিদিনই মৃত্যুর শোকে ভারি হচ্ছে বাতাস। প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্তে হচ্ছেন হাজারো মানুষ। এ মৃত্যুর শেষ কোথায়, কবে থামবে সংক্রমণ? জনমনে এ নিয়েই যখন উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ছায়া ফেলেছে তখন আবারও আশার বাণী শোনালেন অণুজীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল। করোনার এই দুঃসময়ে শোনালেন সুখবর।

শনিবার (২২ আগস্ট) গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই অণুজীববিজ্ঞানী জানিয়েছেন, শীত মৌসুমের আগেই বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে।

ওই সাক্ষাৎকারে ড. বিজন বলেন, ‘এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এমনটা হওয়ারই কথা ছিল। কারণ গত ২০ দিন বা তার আগে দেশে অস্বাভাবিক গরম ছিল। ওই সময়টায় আবহাওয়ায় হাই-হিউমিনিটি ছিল। প্রচণ্ড গরমে মানুষের ইমিউনিটি কমে যায়।’

তিনি বলেন, ‘ওই একই সময়ে আবার বিভিন্ন কারণে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে মানুষের যাতায়াতও বেশি ছিল। ঈদকে কেন্দ্র করে সারা দেশে এই যাতায়াত ছিল ব্যাপক হারে। ফলে করোনাও মানুষের দেহে ভর করে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়েছে। মানুষই করোনা বহন করে। সে কারণে এখন আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়েছে।’

ড. বিজন কুমার শীল আরও বলেন, ‘বর্তমান দেখা যাচ্ছে, করোনা মানুষকে আক্রান্ত করলেও তীব্রতা ও আগ্রাসী ভূমিকা অনেকটাই কমে গেছে। অনেকেই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তার মধ্যে ক্লিনিক্যাল কোনও সাইন দেখা যাচ্ছে না।’

‘অনেকেই আবার আক্রান্ত হয়ে নিজের অজান্তেই সুস্থও হয়ে যাচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য ভালো ও সুখবর। শীত মৌসুমের আগেই বাংলাদেশ থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে’- যোগ করেন ড. বিজন।

এর আগে গেল মাসে ব্রেকিংনিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘বাংলাদেশে করোনা কবে নির্মূল হবে’- এমন প্রশ্নে ড. বিজন বলেছিলেন- যাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) এসে গেছে, তারা কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বন্ধ করে দিতে পারে। কারণ তাদের ভেতরে ভাইরাস গ্রো করতে (টিকতে বা বেড়ে উঠতে) পারবে না। ভাইরাস যখনই গ্রো করতে না পারবে, তখন ভাইরাসের পরিমাণ কমে আসবে। যখনই কমে আসবে, তখনই মানুষ আর আক্রান্ত হবে না। এটা খুব দ্রুত কমে যাবে। কারণ, ঢাকা শহরেই অনেক মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি চলে এসেছে, তারা এই ভাইরাসকে তৈরি হতে আর সাহায্য করবে না। সঙ্গত কারণেই তখন ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাবে এবং আমরা সবাই তখন এর থেকে পরিত্রাণ পাবো।’

ওইসময় তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সংক্রমণটা যত দ্রুত উঠছে তার চেয়ে দ্রুত নেমে যাবে। তবে শূন্যের কাছাকাছি যেতে আরও সময় লাগবে। আমার মনে হয়, শীতের আগেই পরিত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় থাকতে পারে। যেসব এলাকায় একেবারে করোনা হয়নি। ঢাকায় পিক আসতে সময় লেগেছে প্রায় চার মাস। নামতে প্রায় ১০ থেকে ১১ সপ্তাহ লাগবে।’ -ব্রেকিংনিউজ

Facebook 0 Twitter 0 LinkedIn Messenger Print 0Shares


SHARE THIS