
খবর বিজ্ঞপ্তি :
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। যারা হাওয়া ভবন সহ বিভিন্ন স্থানে বসে গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র করেছিলো তাদের মধ্যে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিজ চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামী, আব্দুস সালাম পিন্টু সহ সকল ষড়যন্ত্রকারীর বিচারের রায় অনতিবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। তা না হলে এরা দেশে বিদেশে বসে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করবে। তারা এখনও বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য একেরপর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে হবে। শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ হাসতে হাসতে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াবে। শেখ হাসিনা না থাকলে দেশ আবারও পিছিয়ে যাবে। সেজন্যে সকলকে দুর্নীতি, অনিয়ম, ভূমি দস্যুতা, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেজন্যে প্রথমে দলের থেকেই শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। এখনও সময় আছে যারা এ সব কাজের সাথে সম্পৃক্ত তারা অন্য পথ দেখুন এবং ভালো হয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানান।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় দলীয় কার্যালয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, শ্যামল সিংহ রায়, বীরমুক্তি যোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, শেখ সৈয়দ আলী, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, অসিত বরণ বিশ্বাস, শফিকুর রহমান পলাশ, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, পারভেজ হাওলাদার, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল। সভাপরিচালনা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকাদার, এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, নুর ইসলাম বন্দ, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, ফেরদৌস আলম চাঁন ফারাজী, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, হালিমা ইসলাম, অধ্যা. মিজানুর রহমান, কামরুল ইসলাম বাবলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, অধ্যা. রুনু ইকবাল, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মাকসুদ আলম খাজা, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, শহিদুল ইসলাম বন্দ, আবুল কাশেম ডাবলু, চেয়ারম্যান অধ্যা. আশরাফুজ্জামান বাবুল, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাষ, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, মোল্লা মজিবর রহমান, মাষ্টার মনিরুল ইসলাম, মো. মোতালেব হোসেন, এস এম খালেদীন রশিদী সূকর্ণ, হোসনে আরা শম্পা, খান সাইফুল ইসলাম, মাহাবুবুল আলম বাবলু, আব্দুল হাই পলাশ, চ. ম. মুজিবর রহমান, মঈনুল ইসলাম নাসির, এ্যাড. ফারুক হোসেন, মনিরুল ইসলাম তরফদার, এমরানুল হক বাবু, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, অহিদুল ইসলাম পলাশ, রেজাউল করিম, জাফর ইকবাল মিলন, মো. শিহাব উদ্দিন, মীর মো. লিটন, কাজী কামাল হোসেন, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, মনিরুজ্জামান সাগর, এস এম আকিল উদ্দিন, মো. আমির হোসেন, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, গোপাল চন্দ্র সাহা, অজিত বিশ্বাস, সরদার জাকির হোসেন, হাবিবুর রহমান দুলাল, কবীর পাঠান, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, মিজানুর রহমান নাজু, দেব দুলাল বাড়ৈই বাপ্পি, জামিল খান, ফারুক হোসেন তুরান, বিধান চন্দ্র রায়, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, মাহমুদুর রহমান রাজেশ সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনূষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন, খুলনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ. খ. ম. জাকারিয়া।